আশা এনজিও লোন পদ্ধতি, লোন সুবিধা ও লোন ফরম

আশা এনজিও বাংলাদেশের বর্তমান সময়ে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং অত্যন্ত মূল্যবান এনজিও প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি গ্রাম্য অঞ্চলের মানুষদের জন্য অত্যন্ত সুবিধা পর্যন্ত একটি এনজিও। গ্রামীন অঞ্চলে লোন পাওয়া থেকে শুরু করে কৃষকদের সহযোগিতার জন্য এই এনজিওটি খুবই সহযোগিতা করে। আর আজকের আর্টিকেলে আমরা আশা এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চলেছি। তাছাড়াও আশা এনজিও শুধুমাত্র গ্রাম্য পর্যায়ের মানুষদের জন্য নয় শহরের মানুষদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে লোন দেয়ার সুবিধার মাধ্যমে।

শুধু লোন দিয়েছে তারা আমাদের সাহায্য করছে তা কিন্তু নয় এরই সঙ্গে সঙ্গে আরো বেশ কিছু কাজের জন্য আশা এনজিও সহযোগীপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আপনি যদি একটি গরুর লালন পালন করতে চান তাহলেও আশা এনজিও থেকে লোন নিতে পারবেন। তাছাড়াও ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি কাজের জন্য আশা এনজিও আপনাকে সহযোগিতা করবে লোন পাওয়ার জন্য একদম তাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তাছাড়াও পার্সোনাল লোন থেকে শুরু করে আরো গুরুত্বপূর্ণ সকল নোট পেতে বর্তমানে আশা এনজিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আসুন তাহলে আমরা জেনে নিব আশা এনজিও লোন পদ্ধতি এবং প্রত্যেকটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত।

আশা এনজিও লোন পদ্ধতি

আশা এনজিও লোন পদ্ধতি একদমই সোজা। তবে যারা নতুন রয়েছেন তাদের জন্য আমরা এখন এই নতুন লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করব। এছাড়াও এই তথ্য পড়ার পরে সহজেই যে কেউ চাইলে আশা এনজিও থেকে লোন গ্রহণ করতে পারবেন কোন ঝামেলা ছাড়াই। বন্ধুরা আপনাকে আসা এনজিও থেকে লোন তখনই দেওয়া হবে যখন আপনি মূলত কোয়ালিফাইড হবেন।

আশা এনজিও হতে লোন গ্রহণ করতে হলে আপনাকে ব্যাংকে যেতে হবে এবং তারপরে বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে তারপরে লোনের ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং তারপরে আপনি সহজেই 12 থেকে 24 ঘন্টার মধ্যে লোন পেয়ে যাবেন আশা এনজিও থেকে। চলে আসুন সেই সকল প্রকারভেদ নিয়ম এবং বাকি সকল তথ্য সম্পর্কে আমরা আপনাদের জানিয়ে দিব এবং খুব সহজে যেন আপনার লোন পান তার ব্যবস্থা করে দিব। 

আশা ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে?

আশা ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। সকলে আমরা জানি এনআইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা সবচাইতে বেশি আমাদের কাছে। তবে এটা বাদেও আরো বেশ কিছু দলিলপত্র তার সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশ কিছু কাগজপত্র দরকার হবে। আসুন জেনে নিব সেইসব কাগজপত্রগুলো। 

  • প্রথমে আবেদন ফরম নিয়মানুযায়ী পূরণ করতে হবে।
  • ফরম পূরণ করার স্বাক্ষরসহ জমা দিতে হবে।
  • আপনাকে পাসপোর্ট সাইজের ছবি দিতে হবে।
  • NID কার্ডের ফটো কপি লাগবে।
  • আপনি যে অফিস কাজ করেন, সে আফিসের
  • আপনার আইডি কার্ডের কপি লাগবে।
  • স্যালারি সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
  • বিদ্যুৎ বিল বা যে কোনো বিলের কপি লাগবে।
  • আয়করের ফিরতি কপির অনুলিপি।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট এর ফটো কপি।
  • বিগত একমাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

উপরে যে এসব কাগজপত্র গুলোর কথা উল্লেখিত রয়েছে সেগুলো ছাড়া ব্যাংকে গেলে কোন লাভ হবে না। ব্যাংক আপনাকে কোন প্রকারের লোন দিবে না আর আপনাকে ফর্মও দিবে না। আর ফ্রম না দিলে সেই ফর্ম পূরণ না করলে আপনি লোন পেতে পারেন না। তাই অবশ্যই এইসব কাগজপত্র গুলো সঙ্গে নিয়ে আপনাকে আশা এনজিও বা আশা ব্যাংকে যেতে হবে এবং লোনের জন্য আবেদন করতে হবে। 

আশা এনজিও লোন প্রকারভেদ 

আশা লোন বাংলাদেশের লোন ব্যবস্থাপনার মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত। আশা এনজিও লোন সম্পর্কে আলোচনার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই জেনে নিতে হবে আশা এনজিও লোন প্রকারভেদ সম্পর্কে। আশা এনজিও মূলত তিন প্রকারের লোন দেয়। যেমন:

  • আশা প্রাথমিক লোন
  • আশা বিশেষ লোন
  • আশা MSME লোন

যেসব লোন সম্পর্কে জানানো হয়েছে সাধারণত এই সকল লোন আশা এনজিও প্রদান করে থাকে বর্তমান সময়। ওই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বিভিন্ন ধরনের লোন সিস্টেম চালু করা হবে আশা করি। 

আশা এনজিও লোন সুবিধা

অন্যান্য এনজিও সংস্থার মত আশা এনজিওতে ব্যাপক লোন সুবিধা পাওয়া যায়। অর্থাৎ, লোন নেওয়ার জন্য যে ধরনের সুবিধা তুলনামূলক থাকা উচিত ঠিক সেই ধরনের সুবিধা আশা এনজিওতে রয়েছে। আশা এনজিও লোন সুবিধা গুলো নিচে দেওয়া হল।

প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো (এমএফআই) থেকেও ঋণ নিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রেও সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ। তবে ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণ পাবেন না কোনো গ্রাহক।

এমএফআইগুলোও এনজিও হিসেবে পরিচিত। তবে সব এনজিও এই ঋণ দিতে পারবে না। শুধু ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমআরএ) থেকে নিবন্ধন পাওয়া এনজিওগুলোই এ ঋণ দিতে পারবে। এমআরএ থেকে সনদ নেওয়া এনজিও এখন ৭০০টি।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কয়েক দফা বৈঠক করে এ বিষয়ে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে। নীতিমালাটির নাম ‘নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রভাব মোকাবিলায় সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের দ্রুত ঋণ দেওয়ার সহায়ক নীতিমালা’। সিএমএসএমই বলতে বোঝানো হয়েছে কুটির, অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের। এসব উদ্যোক্তাকে চলতি মূলধনের চাহিদা পূরণ করা এই নীতিমালার উদ্দেশ্য।

খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ সুদে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টাকা দেবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সেই টাকা ২ শতাংশ সুদে দেবে এমএফআই বা সংশ্লিষ্ট এনজিওগুলোকে। এনজিওগুলো পরে সেই টাকা ৯ শতাংশ সুদে গ্রাহকদের দেবে। তবে এনজিওগুলো সুদ পাবে ১৪ শতাংশ। গ্রাহকের ৯ শতাংশ সুদের বাইরে আরও ৫ শতাংশ সুদ সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ভর্তুকি হিসেবে দেবে এনজিওগুলোকে।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকার এখন পর্যন্ত ২১টি খাতের জন্য ১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সেই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় সিএমএসএমই খাতে চলতি মূলধন দেওয়ার জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল শুরু হওয়া এ প্যাকেজ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০ হাজার ৯০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

সিএমএসএমই খাতে ঋণ যাতে ভালোভাবে যায়, সে জন্য সরকারের পরামর্শে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০ হাজার কোটি টাকার একটি আবর্তনশীল পুনঃ অর্থায়ন কর্মসূচিও গঠন করেছে। বর্তমানে ৫৬টি ব্যাংক ও ২০টি নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সিএমএসএমই খাতের প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে জড়িত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এনজিওগুলো যে ঋণ নেবে, তার বিপরীতে ঋণ পরিশোধের ঘোষণাপত্র এবং ঋণস্থিতি জামানত হিসেবে রাখতে হবে। ঋণ পাবে তারা দুই বছরের জন্য। একটি এনজিও সর্বোচ্চ তিনটি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবে।

নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, একক বা গ্রুপ—যেভাবেই হোক না কেন, এই প্যাকেজের আওতায় কোনো গ্রাহক ৫০ লাখ টাকার বেশি ঋণ পাবে না। এর মধ্যে কুটির শিল্প পাবে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ। এ ছাড়া অতি ক্ষুদ্র সর্বোচ্চ ৩০ লাখ এবং ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান পাবে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ। ঋণের টাকায় কোনো গ্রাহক তার আগে নেওয়া কোনো ঋণ সমন্বয় বা পরিশোধ করতে পারবেন না। গ্রাহক পর্যায়ে প্যাকেজের ৪০ শতাংশ ট্রেডিং খাতে এবং ৬০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা খাতে বিতরণ করতে হবে। আর উদ্যোক্তারা প্যাকেজের আওতায় ভর্তুকি সুবিধা পাবেন এক বছর।

নির্বাচিত গ্রাহকদের ঋণ আবেদনের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ অথবা পাসপোর্টের কপি অথবা ট্রেড লাইসেন্স অথবা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার কাউন্সিলরের অথবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অথবা স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রত্যয়নপত্র লাগবে। পাশাপাশি লাগবে অন্য দুজনের নিশ্চয়তাপত্র (গ্যারান্টি)।

Also Read:

আশা এনজিও লোন ফরম

আশা এনজিওতে লোন নিতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম আশা এনজিও লোন পদ্ধতি কিংবা ইন স্টেটমেন্ট গুলো পূরণ করতে হবে তারপরে আপনি আশা এনজিও থেকে লোন নিতে পারবেন। আর আশা এনজিও লোন ফ্রম আপনাকে তখনই দেওয়া হবে যখন আপনি সকল ডকুমেন্টগুলো তাদের কাছে সঠিকভাবে জমা দিবেন। 

এরপরে যখন আপনার কাছে সেই ফর্মটি আসবে তখন সেই ফর্মটি আপনাকে সহজেই পূরণ করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি অফিসে না গিয়ে সরাসরি ঘরে বসেই করতে চান তাহলে অনলাইনে আশা এনজিও ওয়েবসাইট ভিজিট করলে অনায়াসেই আশা এনজিও থেকে লোন গ্রহনের জন্য আশা এনজিও লোন ফরম পূরণ করতে পারবেন। 

সর্বশেষঃ আশা এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে নিশ্চই বিস্তারিতভাবে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। উপরের উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করে আশা এনজিও থেকে আপনি খুব সহজে লোন নিতে পারেন। এ বিষয়ে যদি আপনার কোন ধরনের মতামত অথবা জানার থাকে তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।।

2 thoughts on “আশা এনজিও লোন পদ্ধতি, লোন সুবিধা ও লোন ফরম”

    • আশা এনজিও লোক জনের সাথে যোগাযোগ করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।।

Comments are closed.