পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশের মুদ্রার মান যেমন আলাদা তেমনি সেই মুদ্রার নামও আলাদা হয়। কোনো দেশের মুদ্রার মান অনেক বেশি আবার কোনো দেশের মুদ্রার মান অনেক কম। মূলত অর্থনীতির উপর ভিত্তি করে সেই দেশের টাকার মান নির্ধারিত হয়ে থাকে। মুদ্রার মান ভিন্নটার কারণে কোন দেশের টাকার মান বেশি বা কোন দেশের টাকার মান কত তা জানার জন্য আমরা বেশি আগ্রহ প্রকাশ করি।
আজকের আলোচনার মূল বিষয় পৃথিবীর কোন দেশের টাকার মান বেশি সেই সম্পর্কে। এর পাশাপাশি জানবো মিলিয়ন, বিলিয়ন, ট্রিলিয়ন ভিত্তিতে টাকার হিসাব। অর্থাৎ, এক মিলিয়ন সমান কত টাকা হয় এ সকল বিষয় নিয়ে।
কোন দেশের টাকার মান বেশি
প্রত্যেক দেশের মুদ্রার মান আলাদা হওয়ায় তা জানার জন্য আমাদের আগ্রহবোধ অনেক বেশি থাকে। শুধু তাই নয়, কোনো একটি দেশে ভ্রমণ করতে হলে সেই দেশের মুদ্রার মান জানাও অনেকটা জরুরী। তাই কোন দেশের টাকার মান সবথেকে বেশি সে সম্পর্কে প্রত্যেকের কিছু না কিছু ধারণা থাকা উচিত।
মুদ্রা বা টাকার মানের উপর ভিত্তি করে আমরা অনেকে সেই দেশে ভ্রমণ কিংবা কাজের জন্য আগ্রহবোধ প্রকাশ করি। যেমন ধরুন কোনো দেশের মুদ্রার মান বেশি হলে সেই দেশের ১ টাকা দিয়েই বাংলাদেশের কয়েক টাকা বেশি পাওয়া যায়। যার জন্য আমাদের সেই দেশে কাজ করতে যাওয়ার জন্য বেশি আগ্রহ পকাশ পায়।
বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সবথেকে দামি মুদ্রা হচ্ছে কুয়েতি দিনার। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বাহরাইন দিনার। আমেরিকান ডলার আন্তর্জাতিকভাবে লেনদেনের জন্য বেশি পরিমাণে ব্যবহার হয়ে থাকলেও পৃথিবীর সবথেকে দামি মুদ্রার তুলনায় এর মান তুলনামূলক কিছুটা নিচে।
পৃথিবীর কোন দেশের টাকার মান বেশি
এই অনুচ্ছেদে আমরা ছক আকারে কোন দেশের টাকার মান কত তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। অর্থাৎ, বাংলাদেশের টাকার বিপরীতে পৃথিবীর কোন দেশের টাকার মান বেশি তা নিচের ছকে দেওয়া হবে। আলোচনার পূর্বে একটি বিষয় জানিয়ে রাখি, টাকার মান উক্ত দশ শক্তিশালী মুদ্রার বিপরীতে প্রতিনিয়ত উঠা-নামা করে। এসব মুদ্রার বিপরীতে প্রতিদিন টাকার মান পরিবর্তন হয়।
পৃথিবীর সবচেয়ে দামি দশ মুদ্রা বাংলাদেশের টাকার বিপরীতে কত হয় তা নিচে দেয়া হল –
সবচেয়ে দামি মুদ্রা | বাংলাদেশ টাকা |
কুয়েতি দিনার | ৩৪৩ টাকা |
বাহরাইন দিনার | ২৭৮ টাকা |
ওমানি রিয়াল | ২৭২ টাকা |
জর্দানিয়ান দিনার | ১৪৭ টাকা |
ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিং | ১২৬ টাকা |
কেইম্যান আইল্যান্ড ডলার | ১২৫ টাকা |
সুইস ফ্রাংক | ১১৩ টাকা |
ইউরো | ১১১ টাকা |
আমেরিকান ডলার | ১০৪ টাকা |
কানাডা ডলার | ৭৮ টাকা |
কোন দেশের টাকার মান কত
উপরের আলোচিত বিষয় থেকে নিশচই জানতে পেরেছেন কোন দেশের টাকার মান কত। সাধারণত মুদ্রার মান পরিবর্তনের প্রধান কারণ হল অর্থনীতি। কোনো দেশের জনসংখ্যার বিপরীতে মাথাপিছু আয় বেশি হলে সেই দেশের মুদ্রার মান বেশি হয়। এছাড়া মুদ্রার মান বৃদ্ধিতে বেশ কিছু কারণ বিদ্যমান থাকে। উপরে উল্লেখিত শক্তিশালী দশটি মুদ্রা বাংলাদেশের টাকার বিপরীতে কি পরিমাণ বেশি তা দেওয়া হয়েছে।
একটি বিষয় যেহেতু এসব মুদ্রার মান নিয়মিত উপরে নিচে উঠা-নামা করে সেক্ষেত্রে আমাদের শেয়ার করা মুদ্রার মান যেকোনো পরিবর্তিত হতে পারে। তাই এসব চলমান মুদ্রার মান জানার জন্য গুগলের কারেন্সি কনভার্টারের সাহায্যে জেনে নিতে পারবেন। কারণ, গুগল কনভার্টারে চলমান মুদ্রার মান পাওয়া যায়। প্রতিদিনের মুদ্রার মানের ভিত্তিতে আপডেট থাকে।
কোন দেশের টাকার মান কত সরাসরি জানার জন্য –
- প্রথমে আপনার পছন্দের যেকোনো একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করুন।
- এরপর গুগল সার্চবারে টাইপ করুন currency converter
- নিচের দেওয়া ছবির মত দেখতে পাবেন। এখন আপনি কোন দেশের মুদ্রার বিপরীতে কোন দেশের মুদ্রার মান কত তা বক্স থেকে পরিবর্তন করলে দেখতে পাবেন।
আমেরিকা ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা
পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ আমেরিকার মুদ্রা ডলারকে রিজার্ভ কারেন্সি হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। তেমনি বাংলাদেশও তার বিপরীত হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে অনলাইন কিংবা অফলাইন সকল ক্ষেত্রে আমেরিকান ডলারকে বেশি ব্যবহার করা হয়। তাই আন্তর্জাতিক মুদ্রা মানে আমেরিকান ডলার।
আমেরিকা ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা তা উপরের ছকে দেওয়া হয়েছে। তারপরেও আবার রিপিট করা হলঃ আমেরিকা ১ ডলার = ১০৪ টাকা (বাংলাদেশ ব্যাংক রেট)
এক মিলিয়ন সমান কত টাকা
এক মিলিয়ন সমান ১০ লক্ষ। সেক্ষেত্রে প্রতি ডলার ১০৪.৬৪ টাকা রেটে হিসাব করলে এক মিলিয়ন ডলার সমান ১০ কোটি ৪৬ লক্ষ ৪০ হাজার নয়শত টাকা হয়। যদি প্রতি ডলার ১০৪ টাকা করে হিসাব করা হয়, সেক্ষেত্রে ১ মিলিয়ন ডলার = ১০ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। নিচে বর্তমান রেট অনুসারে এক মিলিয়ন সমান কত টাকা হয় নিচে ছবির মাধ্যমে দেওয়া হল –
সর্বশেষঃ আজকের এই আর্টিকেলের সাহায্যে পৃথিবীর দশ শক্তিশালী মুদ্রা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আমরা চেষ্টা করেছি কোন দেশের টাকার মান সবচেয়ে বেশি তা সহজভাবে আলোচনা করতে। আমাদের বিশ্বাস আপনারা পৃথিবীর কোন দেশের টাকার মান বেশি তা সহজে বুঝতে পেরেছেন। এছাড়া কোন দেশের টাকার মান কত তা সহজে জানার পদ্ধতি সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি আমেরিকা ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা, এক মিলিয়ন সমান বাংলা কত টাকা সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে এসেছে। এ ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত পড়ার জন্য আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।।