কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি, সুযোগ-সুবিধা ও লোন পরিশোধ পদ্ধতি

আপনি কি উদ্যোক্তা হতে চান? উদ্যোক্তা হতে গিয়ে কি আপনি আর্থিক সংকটে পড়ছেন? উপযুক্ত প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা থাকার পরও কি আপনি টাকার অভাবে বিজনেস শুরু করতে পারছেন না? উপরোক্ত সকল প্রশ্নের উত্তর যদি “হ্যাঁ” হয় তবে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিকে সাজানো হয়েছে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দ্বারা। অনেকেই হয়তো এই ব্যাংকিং রিলেটেড বিভিন্ন তথ্য খুঁজতে গিয়ে ভুল তথ্য সংগ্রহের সমস্যাও পড়েছেন। এক্ষেত্রে সকল সমস্যার সমাধান হিসাবে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি ফলো করতে পারেন। কারণ এই একমাত্র আর্টিকেলেই আমরা চেষ্টা করবো কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কিত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার। কোনো তথ্য মিস করতে না চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন। 

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিচিতি

শুরুতেই চলুন কর্মসংস্থান ব্যাকের পরিচিত কিংবা এই ব্যাংকের লোন পরিচিতি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক। মূলত বাংলাদেশের যে ব্যাংকটি গ্রাম ও শহরে বেকার যুব সমাজের আত্নকর্মসংস্থান গড়ে তুলতে সিরিয়াস হয়ে কাজ করছে সেই ব্যাংকটিই হলো আমাদের আজকের আলোচ্য এই কর্মসংস্থান ব্যাংক। যার তুলনায় গ্রাম ও শহরে বেকার যুব সমাজের আত্নকর্মসংস্থান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাংকগুলির কৃতিত্ব অনেকটাই কম। অর্থ্যাৎ সম্পূর্ণ ব্যাংকটিই গ্রাম ও শহরে বেকার যুব সমাজের আত্নকর্মসংস্থান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সিরিয়াস হয়ে কাজ করছে। 

মূলত এই কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন বলতে আমরা বলতে পারি বেকার লোকদের ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করার বিষয়টিকে। এই ব্যাংকটির সেবা সম্পর্কে যদি আপনার আরো জানার আগ্রহ থাকে সেক্ষেত্রে বলবো এই ব্যাংকটি তাদের সেবার তালিকায় নিজস্ব ঋণ কর্মসূচী, ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ কর্মসূচী, বিদেশি কর্মসংস্থান ঋণ কর্মসূচী, সরকারি বিশেষ কর্মসূচীসহ অন্যান্য কর্মসূচীকে যুক্ত রেখেছে। সুতরাং একজন গ্রাহক হিসাবে আপনি চাইলে এসব কর্মসূচীর যেকোনো একটি কর্মসূচীতে যুক্ত হয়ে এর সার্ভিস উপভোগ করতে পারেন। 

কেবলমাত্র দেশের বেকার যুবককে স্বাবলম্বী হতেই নয়! বরং এই ব্যাংকটি প্রবাসী হিসাবে বা প্রবাসে যাওয়ার ভিসার টাকা হিসাবেও নির্দিষ্ট পরিমাণের অর্থ লোন দিয়ে থাকে। যদিও এই ব্যাংকটি মূলত মৎস্য শিল্প, প্রাণি সম্পদ, শিল্প কারখানা, কুটির শিল্প ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা বেকারদের লোন দিয়ে সাহায্য করে! তবে এর পাশাপাশি আপনি যদি বেকার যুবক হোন এবং বিদেশে যেতে চান কিন্তু বিদেশে যাওয়ার অর্থ যদি জোগাগ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে সরাসরি এই ব্যাংক থেকে লোন সার্ভিস নিতে পারেন৷ তবে তা সঠিক সময়ে পরিশোধ করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। 

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায়

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে চলুন জেনে নেওয়া যাক কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। শুরুতেই বলেছি কর্মসংস্থান ব্যাংক সাধারনত বেকারদের ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। সুতরাং লোন নিতে হলে অবশ্যই আপনাকে বেকার এবং একইসাথে যুবক হতে হবে। যদিও এক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ব্যাংক আলাদা বয়সসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে! বলে রাখা ভালো এই লোন নিতে হলে আবেদনকারী হিসাবে আপনাকে ১৮ বছর বয়স থেকে ৪৫ বছর বয়সী হতে হবে। সেই সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে থাকতে হবে অষ্টম শ্রেণি পাশের দলিল বা ডকুমেন্টস। 

আক্ষরিক অর্থে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার উপায় হিসাবে আপনাকে নিকটস্থ কর্মসংস্থান ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। তবে তার আগে নিশ্চিত করতে হবে এই ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতাগুলি আপনার ঠিকঠাকভাবে আছে কিনা। চলুন তবে আর্টিকেলের পরবর্তী অংশ হতে জেনে নেওয়া যাক কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতাগুলি কি কি হতে পারে! 

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা

একজন কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন গ্রাহক হিসাবে আবেদনের পূর্বে আপনাকে যেসব যোগ্যতা বা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে সে-সব পয়েন্ট হলো: 

  • আপনার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সের মধ্যে।
  • আপনার প্রকল্প অবশ্যই ব্যাংক কতৃপক্ষ দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।
  • আবেদনের পূর্বে আপনার প্রকল্প বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে নিতে হবে।
  • প্রতিটি আবেদনকারীরা শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত হিসাবে কমপক্ষে ক্লাস এইট পাশ হতে হবে।
  • সবশেষে পার্শ্ববর্তী কর্মসংস্থান ব্যাংক এর কোন শাখায় যোগাযোগ করতে হবে।

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি

আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করবো কোন কোন সেক্টরে আপনি বিজনেস করতে চাইলে এই কর্মসংস্থান ব্যাংক লোনের সার্ভিস গ্রহণ করতে পারবেন সে-সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে নিচের অংশে ফোকাস করুন: 

  • ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প
  • ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাত 
  • ট্রাভেল এজেন্সির খাত
  • খামার বা উৎপাদন-প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত খাত
  • সার্ভিস রিলেটেড এজেন্সির খাত

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিজনেস

আপনি কি আপনার নতুন বিজনেস প্রজেক্টটি বাঁশ ও বেত শিল্প, প্রিন্টিং এবং সাইনবোর্ড তৈরি, যন্ত্রাংশ বা যন্ত্রপাতি তৈরির কাজ দিয়ে সাজাতে চান বা চালাতে চান? এক্ষেত্রে পাশে থাকবে কর্মসংস্থান ব্যাংকের লোন সিস্টেম। কারণ ব্যাংকটি এই ধরণের বিজনেসের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে দূর্বল বেকারদের জন্য লোনের ব্যবস্থা রেখেছে। সুতরাং যারা বিভিন্ন ধরণের কুটির শিল্পের বিজনেসের জন্য লোন খুঁজছেন তারা কম সুদের হারে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ফলো করে লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। 

ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাত

যারা বেকার জীবন থেকে দ্রুত মুক্ত হতে ব্যাংক লোন চাইছেন তারা কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ফলো করে এবং আবেদন কার্যক্রম সেরে ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ কিছু খাতের জন্যে বরাদ্দ নির্দিষ্ট লোন পেতে পারেন। এই ধরণের লোন পেতে হলে আবেদনের পূর্বে কর্মসংস্থান ব্যাংক এর সাথে আলাপ করতে হবে। কারণ আপনি কোন সেক্টরের ব্যবসাতে নামতে চাচ্ছেন এবং সেই ব্যবসাটুকু আপনি আদৌ দাঁড় করাতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত হয়ে তবেই লোন নিতে হবে। এসব ব্যবসা যেকোনো সেক্টরের হতে পারে। যেমন ধরুন ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, তৈরি পোষাক ব্যবসা, কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী অথবা ঔষধের ব্যবসাসহ অন্যান্য যেকোনো ব্যবসা। 

ট্রাভেল এজেন্সির খাত

ট্রাভেল এজেন্সির খাতটিকে আমরা একধরণের পরিবহন ব্যবসা হিসেবেও ধরে নিতে পারি। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে ট্রাভেল রিলেটেড যেকোনো প্রোডাক্ট বা পরিবহন রিলেটেড যেকোনো সার্ভিস নিয়ে কাজ করতে পারেন। এসব কাজ করতে গিয়ে যদি আপনি লক্ষ্য করেন আপনার পরিমাণ অনুযায়ী অর্থ নেই সেক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ফলো করে ট্রাভেল এজেন্সির খাতের জন্য লোন নিতে পারেন। আশা করি পরিবহন সেবার মান উন্নয়ন এবং বেকার যুবকদের কাজের নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে এই কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন যথেষ্ট উপকারে আসবে। 

খামার বা উৎপাদন-প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত খাত

আপনি যদি কোনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে বের হোন তবে ইনভেস্টমেন্টের অভাবে যদি আপনি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন সেক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারেন। এছাড়াও যাদের উৎপাদন রিলেটেড প্রজেক্টের প্রতি ঝোঁক আছে তারা তাদের স্বপ্নকে সত্যি করতে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে পারেন৷ মাশরুম চাষ, রেশন চাষ, নার্সারী তৈরি করে ব্যবসা করা বা কোনো ফার্ম করে তোলা যাদের ক্যারিয়ারের মূল উদ্দেশ্য তাদের পাশে কর্মসংস্থান ব্যাংক সবসময়ই পাশে থাকার ব্যাপারটি নিশ্চিত করে আসছে। 

সার্ভিস রিলেটেড এজেন্সির খাত

বর্তমানে অফলাইনে ভালো টাকা আর্ন করার অনেকগুলির সুযোগ অর্থ্যাৎ ব্যবসার মাঝে কম্পিউটার সেবা, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ক্লিনিক, আবাসিক হোটেল, বা বিউটি পার্লারের ব্যবসা বেশ রমরমা হয়ে উঠেছে। যারা বেকার তারা চাইলে এই ব্যবসা করেও ভালো আর্নিং করতে পারেন। এক্ষেত্রে সেবামূলক খাতে বিনিয়োগ করতে চাইলে যথেষ্ট পরিমাণে অর্থের প্রয়োজন পড়বে। যা আপনি কর্মসংস্থান ব্যাংক লোনের আন্ডারে নিশ্চিত করতে পারবেন। যারা বর্তমানে বিভিন্ন সেবামূলক খাতে বিনিয়োগের কথা ভাবছেন তাদের জন্যে হতে পারে এই লোন খরার দিনে ঠান্ডার পানির মতো কাজ করবে। 

Also Read:

কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি ফলো করে লোন নিতে হলে আপনাকে নিয়ম অনুযায়ী কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি সরাসরি এই ব্যাংকের স্থানীয় শাখা অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। কর্মসংস্থান ব্যাংক অনলাইন লোন আবেদন করার ক্ষেত্রে যেসব ডকুমেন্টস না থাকলেই নয়: 

  • শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত সত্য এবং সঠিক ডকুমেন্টস।
  • আপনি যে অন্য কোন আর্থিক সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান বা কোন ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান তা প্রমাণাদি।
  • আপনি একজন ক্ষুদ্র উদ্দ্যোক্তা হিসাবে কাজ শুরু করেছেন কিনা সে-সম্পর্কিত লিখিত ডকুমেন্টস।
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি বা পাসপোর্ট কপি।
  • আপনার বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা।
  • যিনি লোনের জন্য আবেদন করবেন তার সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
  • সবশেষে আপনি যদি ১ লাখ টাকা লোন নিতে চান সেক্ষেত্রে আপনার ব্যবসার ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপির প্রয়োজন পড়বে।

বি:দ্র: আপনি চাইলে উপরোক্ত ডকুমেন্টসের সাহায্যে ঘরে বসেই আবেদন কাজটি সেরে ফেলতে পারেন। তবে আপনার যদি মনে হয় আবদেন প্রক্রিয়াটিতে কারো সাহায্য প্রয়োজন সেক্ষেত্রে কর্মসংস্থান ব্যাংকের স্থানীয় শাখা অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। তারাই আপনাকে আপনার কাজটিতে সর্বোচ্চ সহোযোগিতা করবে। 

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন আবেদন ফরম

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন নিতে হলে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতির অংশ হিসাবে আপনাকে অবশ্যই কর্মসংস্থান ব্যাংক লোনের আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে শুরুতে নিজের কাজের এলাকা বাছাই করে নিজের আসল নামটি শুদ্ধভাবে লিখবেন।

এবারে আপনাকে ফরমে জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার এবং সেই সাথে আপনার ফোন নাম্বারটি দিতে হবে। পিতার নাম বা স্বামী/স্ত্রীর নাম এবং পরের বক্সে আপনার মায়ের আসল বা পুরো নামটি লিখুন। বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা দিয়ে পরের বক্সে আপনার গ্যারান্টি দিতে পারবে এমন কারো নাম-ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার দিন৷ সবশেষে ঋণগ্রহীতার জন্ম তারিখ এবং কাজ-সম্পর্কিত তথ্য দ্বারা বক্সগুলি পূরণ করে ফেলুন। 

কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধ পদ্ধতি

মনে রাখবেন কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পরিশোধ করতে হলে আপনাকে কৃষিখাতের জন্য ৮%-৯%, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প খাতের জন্য ১৩%, প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য ১০% এবং বাণিজ্যিক খাতের জন্য ১৩% সুদ দিতে হবে। লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে সর্বোচ্চ ২৫ লক্ষ টাকা নিতে পারেন এবং গ্রুপিং করে নিলে ৫০ লক্ষ টাকা নিতে পারেন। 

কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা

কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোন নিলে যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় নিচে তা উল্লেখ করা হল –

  • সহজে আবেদন-যোগ্য।
  • সহজ শর্ত পূরণ করে ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ।
  • লোনের ক্ষেত্রে অল্প সুদের ব্যবস্থা।
  • সর্বোচ্চ ২৫/৫০ লক্ষ টাকা লোন নেওয়ার সৃযোগ।

সর্বশেষঃ আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। লোন নেওয়ার পদ্ধতি এবং পরিশোধের উপায় বা টেকনিকসহ অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে তো জানলেন। এবারে কাজে নেমে পড়বার পালা। নিজের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আজ থেকেই ব্যাতিক্রম কিছু শুরু করুন। কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুযোগ সুবিধা আপনার এই পথকে আরো সহজ এবং সরল করে তুলবে। কারণ আপনার প্রস্তাবিত প্রকল্প বিচারে এই ব্যাংক অনেক বেশি টাকা সহজ শর্তে লোন দিতে বাধ্য থাকবে। আপনার নতুন প্রজেক্ট এবং লোন সার্ভিস নেওয়ার বিষয়টির প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে আজকের আর্টিকেলের ইতি টানছি। ভালো থাকবেন।