রূপালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সুবিধা সমূহ জেনে নিন

রূপালী ব্যাংক লিমিটেড বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে রূপালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে। রূপালী ব্যাংকে যারা একাউন্ট তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক বেশি সহায়ক হবে। তাই ধৈর্য্য নিয়ে আর্টিকেলের শেষ অবধি পর্যন্ত থাকুন এবং রূপালী ব্যাংক একাউন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করুন।

রূপালী ব্যাংক লিমিটেড

বাংলাদেশের সবচেয়ে উন্নততম সরকারি ব্যাংক হিসেবে রূপালী ব্যাংক পরিচিত। যা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে তৈরি হয়েছিল। বর্তমান সময়ে রাজস্ব খাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার রাখে রূপালী ব্যাংক। আসুন আমরা আজকের আর্টিকেলটিতে রূপালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম এবং এই ব্যাংকের সুবিধা সমূহ সহ বিভিন্ন বিষয়ে জেনে নেব। 

রূপালী ব্যাংক লিমিটেড ১৯৭২ সালে তৈরি করা হয়েছিল অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের মাত্র এক বছর পর। ব্যাংকটি এখনো পর্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের সবচাইতে সেরা ব্যাংক হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া ১৯৭৩ সালে এই ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন ২০ মিলিয়ন টাকার উন্নতি করেছিল যা সে সময়ে বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান ব্যাংক হিসেবে পরিচিত ছিল। 

এই ব্যাংকটি ৭ বিলিয়ন টাকার উন্নীত করেছিল এবং বর্তমান সময়ের সবচাইতে সেরা ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশে পরিচিত। তাই এই ব্যাংকে নির্ভয়ে আমরা অবশ্যই একাউন্ট করতে পারি।

রূপালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

বর্তমান সময়ে রূপালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম অত্যন্ত সোজা। রূপালী ব্যাংকে একটি একাউন্ট তৈরি করতে আপনাকে যেতে হবে না ঘরের বাইরে। যা ঘরে বসে একদম দ্রুত সময়ের মধ্যে চাইলে তৈরি করে নিতে পারেন একটি রূপালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সহজ নিয়মে। তবে অবশ্যই সাজেশন থাকবে নিকটস্থ ব্রাঞ্চ এ গিয়ে সঠিক নিয়মে সেখানে আপনার তথ্যগুলো পূরণ করে একটি রূপালী ব্যাংক একাউন্ট খুলতে। 

এটাও সত্য অনলাইনে রূপালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম আরো বেশি সোজা। কিন্তু যে কোন ভুল হলে অবশ্য আপনাকে আবারো ব্রাঞ্চ এ গিয়ে সেটি সমাধান করে নিতে হবে। তার চেয়ে ভালো হবে যদি ব্রাঞ্চে গিয়ে সরাসরি একটি রূপালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। 

তাই সর্বপ্রথম বলতে পারেন আপনি রূপালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য ব্রাঞ্চে যাবেন এবং তারপরে সেখানে খুব সহজে একটি একাউন্ট তৈরি করে ফেলবেন। আর ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার লাগবে বেশ কিছু ডকুমেন্ট। এ সকল ডকুমেন্টগুলোর সাথে নিয়ে খুব সহজে আপনি একটি রূপালী ব্যাংক একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

রূপালী ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম অবলম্বন করতে যেসকল ডকুমেন্ট লাগবে –

  • একাউন্ট তৈরি করার জন্য ব্যাংকে গিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করা।
  • সেই ফর্মগুলো পূরণ করতে সকল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করা।
  • দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি রঙ্গিন।
  • ব্যক্তিগত জাতীয় পরিচয় পত্র কিংবা পাসপোর্ট।
  • ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অবশ্যই দরকার হবে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি।
  • বাসা বাড়ির ইউনিটি বিল এর ফটোকপি।
  • বয়স নিশ্চয়ই ১৮ বছরের বেশি হতে হবে।
  • রেফারেন্স যে করবে বা নমিনি যে হবে সেই ব্যক্তির এনআইডি কার্ড এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • জামানত হিসেবে ৫০০ টাকা জমা প্রদান।
  • এসএমএস পাওয়ার জন্য মোবাইল নম্বর। অবশ্যই সচল মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করতে হবে।

এ সকল ডকুমেন্টগুলো জোগাড় করুন তাহলে খুব সহজে আপনি চাইলে রুপালি ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন ব্যাংকে গিয়ে।

রূপালী ব্যাংক একাউন্ট প্রকারভেদ ও সুবিধা সমূহ

বর্তমান সময়ে রূপালী ব্যাংকের মধ্যে সেভিং একাউন্ট, স্টুডেন্ট একাউন্ট এবং ডিপিএস এই তিনটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায়। আপনি চাইলে যেকোনো একটি একাউন্ট তৈরি করতে পারেন যা আপনার সুবিধা জনক বলে মনে হবে। সেভিং একাউন্ট এর সুবিধা হচ্ছে এই একাউন্টের মধ্যে আপনি চাইলে টাকা সেভ করে রাখতে পারবেন।

আবার যারা ছাত্র রয়েছে তারা খুব সহজে চাইলে স্টুডেন্ট একাউন্ট তৈরি করতে পারে। আর যারা ডিপিএস তৈরি করতে চাচ্ছেন এবং পাঁচ বছর কিংবা দুই বছর চক্রবৃদ্ধি হারে হারাম মুনাফা অর্জন করতে চাচ্ছেন তারা চাইলে ডিপিএস খুলতে পারেন।

রূপালী ব্যাংকের অনেক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে এবং এই ব্যাংকে রয়েছে খুব সহজে ঋণ পাওয়ার সুযোগ। এছাড়া রয়েছে এই ব্যাংকের যে কোন ব্রান্ড এ টাকা ট্রান্সফার করার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। যারা মূলত একটি ব্রাঞ্চ থেকে অন্য ব্রাঞ্চ থেকে টাকা তুলতে চাচ্ছেন অর্থাৎ আপনি ঢাকায় থাকেন কিন্তু গ্রামের বাসায় গেলেন এবং সেখানে গিয়ে টাকা তুলতে চাচ্ছেন তাহলে খুব সহজে তুলতে পারবেন।

তাছাড়া এই ব্যাংকের সেভিং একাউন্টে পেয়ে যাবেন ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ডের সুযোগ। তাছাড়া আনলিমিটেড লেনদেন করা যাবে রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে। যা হয়তো বা অন্য ব্যাংকের মধ্যে পাওয়া যাবে না এমন সুযোগ।

Also Read:

রূপালী ব্যাংক অনলাইন 

রূপালী ব্যাংকে বর্তমান সময়ে রয়েছে রূপালী ব্যাংক অনলাইন সুযোগ। আপনি চাইলে ব্যাংকে না গিয়ে খুব সহজে রূপালী ব্যাংক অনলাইন একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারেন। এছাড়া অনলাইনে ঘরে বসে আপনি ট্রান্সজেকশন করতে পারবেন। তাছাড়া বিকাশের মাধ্যমে অনায়াসে যে কোন ব্যাংকের লেনদেন করা সম্ভব। একইভাবে আপনি রুপালি ব্যাংকের লেনদেন বিকাশের মাধ্যমে করতে পারেন কিংবা নগদ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারেন। 

রূপালী ব্যাংকের যে শিওর ক্যাশ এপ্লিকেশনটি রয়েছে অনলাইনে সেটিও অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন এবং এর সহায়তায় খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনি লেনদেন করতে পারেন। বিকাশের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফার করে তা আপনি তুলতে পারবেন খুবই দ্রুত সময়ের মধ্যে।

এছাড়া ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে এই ব্যাংকের টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। আর একটি মাস্টার কার্ড পেয়ে গেলে বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে যে কোন বুথ থেকে আপনি টাকা তুলতে পারবেন।

সর্বশেষঃ আজকের এই আর্টিকেলের সাহায্যে রূপালী ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও সুবিধাসমূহ সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিশ্চই বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল পেতে চাইলে আমাদের সঙ্গে থাকুন এবং আমাদের অন্যান্য আর্টিকেলগুলোও পড়তে থাকুন। ধন্যবাদ।।