সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো এবং বিভিন্ন ভিসা সম্পর্কিত তথ্য

আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা যে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারবেন তা হচ্ছে সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো? অনেকেই আছেন যারা সৌদি আরবের ওয়ার্ক ভিসা নিতে চান। অর্থাৎ সৌদি আরবে কাজ করার জন্য যেতে চান। কিন্তু সৌদি আরবে কাজের জন্য কোন ভিসা সবথেকে ভালো তা নিয়ে অনেকে চিন্তায় পড়ে যান। যা আজকের এই আর্টিকেলের সাহায্যে জানতে পারবেন সৌদি আরবের বিভিন্ন ভিসা সম্পর্কিত বিষয়ে। তাহলে চলুন বিস্তারিত আলোচনা করি।

সৌদি আরব সবথেকে ভালো ভিসা

সৌদি আরবের সবচেয়ে ভালো ভিসার নাম ও দাম সম্পর্কে বিস্তারিত নিচে দেওয়া হল –

  • আমেল আইদি ভিসা (৩ লক্ষ টাকা)
  • আমেল মঞ্জিল ভিসা (৩ লক্ষ ৫০ হাজার)
  • চাওয়াক খাস ভিসা (৩ লক্ষ ৫০ হাজার)
  • মাজরা ভিসা (৩ থেকে ৪ লক্ষ)
  • সৌদি কোম্পানি ভিসা (৪ লক্ষ টাকা)

সৌদি আরবে কোন ভিসা সুবিধা বেশি? 

আপনারা যদি বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে ড্রাইভিং ভিসায় যেতে পারেন তাহলে সেখানে গিয়ে ড্রাইভিং এর কাজ করতে পারবেন এবং এই কাজ করে বেশ ভালো পরিমানে একটা অর্থ প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারবেন। আমেল আইদি ভিসা সহ আরো অনেক ধরনের ভিসা রয়েছে। এই ভিসাগুলো দিয়ে যদি আপনারা সৌদি আরবে যেতে পারেন তাহলে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং সেই সাথে ভালো পরিমাণ আয় করার সুযোগ পাবেন।

আমেল আইদি ভিসা

সৌদি আরবে আপনি ড্রাইভিং ভিসা সহ আরো অনেক ভিসাতে যেতে পারবেন। যেমন আপনি রেস্টুরেন্টে কাজ করবেন এমন ভিসায় যেতে পারেন। এসব ভিসায় তুলনামূলক অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা ও বেতন পাওয়া যায়। এছাড়া এসব ভিসায় গেলে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য যাতায়াত খরচ কোম্পানি থেকে দেওয়া হয়।

আমেল মঞ্জিল ভিসা

যারা সৌদি আরবে বিভিন্ন মালিকের বাড়িতে কাজের জন্য যেতে চান তাদেরকে আমেল মঞ্জিল ভিসা দেওয়া হয়। এই ভিসায় গেলে বাসা বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন। যেমন – দারোয়ান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মী সহ বিভিন্ন ধরনের গৃহস্থালী কাজ। এই ভিসায় যাওয়ার ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই ভালো কোন এজেন্সির মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাহলে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা ও আয় করতে পারবেন।

মাজরার ভিসা কেমন?

মাজরার ভিসায় সৌদি আরবে যেতে চাইলে আপনাকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে। এই ভিসায় গেলে আপনাকে বিভিন্ন বাড়িতে কাজ, বাগানের কাজ ও কৃষি কাজ করা লাগতে পারে। মাজরার ভিসায় গেলে আপনার তেমন কোনো কাজের অভিজ্ঞতা কিংবা দক্ষতা থাকা লাগবে না। 

সৌদি আরব ভিসা কত প্রকার?

সৌদি আরবের অনেক প্রকারের ভিসা রয়েছে। এ সকল ভিসার প্রকারভেদ নিচে দেওয়া হল –

  • হজ্জ ভিসা
  • ট্যুরিষ্ট ভিসা
  • ব্যবসায় ভিসা
  • শিক্ষা ভিসা
  • কাজের ভিসা
  • ফ্যামিলি ভিসা

সৌদি আরব ভিসা দাম কত?

শুধুমাত্র সৌদি আরবের ভিসা সংগ্রহ করার জন্য আপনার ১,৫০০ থেকে ২,৫০০ রিয়াল খরচ করা লাগতে পারে। তবে আপনি যদি বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে ভিসা করেন তবে সেক্ষেত্রে দেখা যাবে যে আপনার ৭,০০০ থেকে ১০,০০০ রিয়াল পর্যন্তও খরচ করা লাগবে। আর যেটা বাংলাদেশী টাকায় মোট চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার মত খরচ করা লাগবে।

সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো?

উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চই সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো সে সম্পর্কে ধারণা পেয়ে গেছেন। সৌদি আরবের সবথেকে ভালো ভিসার মধ্যে রয়েছে আমেল আইদি ভিসা, আমেল মঞ্জিল ভিসা, চাওয়াক খাস ভিসা, মাজরা ভিসা ও সৌদি কোম্পানি ভিসা। যে ভিসাগুলো নিয়ে প্রচুর লোক বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কাজের জন্য যায়।

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা

সৌদি আরবের কোম্পানি ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে সবার প্রথমে জানতে হবে যে কোন কোম্পানিতে আবেদন করলে সুযোগ-সুবিধা বেশি দেবে। বর্তমানে সৌদি আরবে ভালো কোম্পানি কোনগুলো রয়েছে এই বিষয়টি আপনাকে জানতে হবে। কারণ আপনি যদি ভালো কোম্পানিতে না যেতে পারেন তবে আপনি সুযোগ-সুবিধা ভালো পাবেন না। আর বেতন কম পাবেন এবং সিকিউরিটিও কম থাকবে।

এ পর্যায়ে চলুন কিছু ভালো কোম্পানির নাম সম্পর্কে জেনে নিই –

আরামকো কোম্পানি

এটা হচ্ছে মূলত সৌদি আরবের একটি তেল পরিশোধনের কোম্পানি। আর এটা শুধুমাত্র সৌদি আরবেই নয় বরং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী কোম্পানি গুলোর মধ্যে একটি। আরামকো প্রতি বছর বাংলাদেশ সহ আরো অনেক দেশ থেকে লোক নিয়োগ করে থাকে।

এই কোম্পানিটির সব থেকে ভালো সুযোগ-সুবিধা হল আরবের বেশ কিছু সরকারি এবং বেসরকারি কোম্পানি এর সাথে সংযুক্ত রয়েছে। যারা মূলত প্রত্যেক বছর তাদের কোম্পানিতে কাজ করানোর জন্য বাংলাদেশ থেকে অনেক পরিমাণে লোক নিয়ে থাকে।

আল মারাই কোম্পানি

আল মারাই কোম্পানি শুধু সৌদি আরবে নয় বরং সারা পৃথিবীর মধ্যে নামকরা একটি কোম্পানি। পুরো বিশ্বের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষ আছে এই কোম্পানিতে কাজ করার জন্য। কিন্তু বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত এবং পাকিস্তান থেকে বেশি সংখ্যক মানুষ এই কোম্পানিতে কাজের জন্য যায়।

এই কোম্পানিতে ভালো পরিমাণ বেতন দেওয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেক বছর দুই মাসের ছুটি পাবেন এবং অভারটাইম ডিউটি করার সুযোগ দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ আপনার কাজের সময় শেষ হওয়ার পরে বাড়তি কাজ করে সেই কাজের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে একটা অর্থ আপনি পাবেন।

Also Read:

সৌদি আরব ভিসা আবেদন

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে সৌদি ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বাড়িতে বসে আপনি নিজেই এই সৌদি আরব ভিসা আবেদন কাজটি করতে পারেন। আর আপনার যদি এ বিষয়ে ধারণা না থাকে তাহলে কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে এই ভিসা আবেদন কাজটি করতে পারেন।

সৌদি আরবের ভিসা চেক

আপনি পাসপোর্ট নাম্বারের সাহায্যে অনলাইনে সৌদি আরবের ভিসা চেক করতে পারবেন। যা আপনার আবেদন করা ভিসা কি অবস্থায় রয়েছে তা খুব সহজে চেক করে নিতে পারবেন।

সর্বশেষঃ আলোচিত আর্টিকেলের সাহায্যে আপনারা নিশ্চই সৌদি আরব কোন ভিসা ভালো সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন এবং সেই সাথে সৌদি আরবের বিভিন্ন ভিসা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়মিত পেতে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।।